জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম ফর লস অ্যান্ড ড্যামেজ: স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং শুদ্ধাচার নিশ্চিতে টিআইবি’র প্রস্তাব

প্রকাশকাল: ২৮ নভেম্বর ২০১৯

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ধীরে ধীরে (স্লো অনসেট ইভেন্ট)বা আকস্মিক (এক্রট্রিম ইভেন্ট) দুর্যোগের কারণে সংঘটিত ক্ষয়-ক্ষতির (Loss and Damage) বিষয়টি উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তবে এই ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ও প্রভাব বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে অনেক প্রকটতর, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সংঘটিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রায় ২৮২৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে , যা আমাদের বিদ্যমান অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোকাবেলা ও এড়ানো সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, বন্যার কারণে আক্রান্ত পরিবার প্রতি গড়ে ১৭,৮৬৩ টাকার (২১০ ডলার) ক্ষতি হয়েছে। এই ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলার জন্য২০১৩ সালে ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম ফর লস অ্যান্ড ড্যামেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়ারশো মেকানিজমের আওতায় এই ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির বিপরীতে ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি প্যারিস চুক্তির ৮ নং অনুচ্ছেদের মাধ্যেমে পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ধীরে ধীরে এবং আকস্মিক সংঘটিত দুর্যোগের হাত থেকে ক্ষয়-ক্ষতি এড়ানো,হ্রাস এবং মোকাবেলায় ওয়ারশো মেকানিজমকে মূল ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সার্বিকভাবে, মেকানিজমটি প্যারিস চুক্তির স্বচ্ছতা কাঠামোর নীতিমালা মেনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি,বন ধ্বংস, এবং জীববৈচিত্রের ক্ষতিসহ আর্থিক মূল্যে পরিমাপযোগ্য ও অপরিমাপযোগ্য ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে (প্যারিস চুক্তি, অনুচ্ছেদ ১৩)। 
পলিসি ব্রিফ এখানে
 

Policy Brief