প্রকাশকাল: ৩০ জুন ২০২৫
প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান পর্যবেক্ষণ ও উন্নতির জন্য সরকারের সাথে সাথে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর বর্তমানে চলমান পার্টিসিপেটরি অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন: টুওয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (প্যাক্টা) প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য স্থানীয় জনগণের তদারকির (কমিউনিটি মনিটরিং) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সমস্যাগুলোর সমাধানে নাগরিক পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা। প্যাক্টা প্রকল্পের অধীনে দেশের ৪৫টি অঞ্চলে টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) তত্ত্বাবধানে, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস)-এর সহযোগিতায় এবং অ্যাকটিভ সিটিজেনস গ্রুপ (এসিজি)-এর নেতৃত্বে বিশেষায়িত অ্যাপের মাধ্যমে কমিউনিটি মনিটরিংয়ের উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়। এসব বিদ্যালয়ের প্রতিটির জন্য স্থানীয় সেবাগ্রহীতা, নারী, যুব, বিভিন্ন পেশাজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে এসিজি গঠন করা হয়, যারা নিয়মিতভাবে উক্ত বিদ্যালয়গুলোকে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। এসিজির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমিউনিটি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা ও কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি কমিউনিটি অ্যাকশন মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং তাঁদের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে চিহ্নিত সমস্যা সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে অধিপরামর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সমস্যার প্রকৃতি, প্রকটতা ও সমাধানের প্রক্রিয়া বিবেচনায় এবং স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান না হওয়া সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের যথাযথ পদক্ষেপের জন্য অধিপরামর্শ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন