প্রকাশকাল: ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুষ্টিয়া-এর সদস্য ও সাবেক সভাপতি ডাঃ মোঃ আবু দাউদ এর মৃত্যুতে টিআইবি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সনাক, কুষ্টিয়ার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি গত ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার সকাল ১০:৪০ মিনিটে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি স্ত্রী, পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ডাঃ মোঃ আবু দাউদ ২৮ অক্টোবর ২০০৭ সালে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুষ্টিয়া-এর সদস্য হিসাবে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ০১ ডিসেম্বর ২০১২ হতে ৩০ নভেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুষ্টিয়া-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন পরিচালনায় ডাঃ মোঃ আবু দাউদ এর অবদান আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। ডাঃ মোঃ আবু দাউদ সিভিল সার্জন হিসেবে জামালপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) হিসেবে তিনি ১৯৯৪ সালে অবসরপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার পরামর্শক হিসেবে প্রায় পাঁচ বছর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি নিজ গ্রামে রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও এসএসসি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ডাঃ মোঃ আবু দাউদ সমাজসেবা কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সরকার কর্তৃক জনসেবামূলক কাজের জন্য সাদা মনের মানুষ হিসেবে সম্মাননা প্রাপ্ত হন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সংগঠক।
টিআইবি’র সাধারণ পর্ষদ, ট্রাস্টি বোর্ড, সকল কর্মী, দেশের ৪৫টি এলাকার সনাক, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস), অ্যাকটিভ সিটিজেন্স গ্ৰুপ (এসিজি), ঢাকা ইয়েস, ইয়াং প্রফেশনালস অ্যাগেইনস্ট করাপশন (ওয়াইপ্যাক)-এর সদস্যসহ সকলের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।