ভূমি সেবায় সুশাসন: কমিউনিটি মনিটরিং থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সুপারিশ

প্রকাশকাল: ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ভূমি খাত বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেবাখাত, যা দেশের নাগরিকদের পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। ভূমি সংক্রান্ত সেবায় জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেবার গুণগত মান পর্যবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটির সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমির ব্যবস্থাপনা, বিশেষকরে, ভূমি ক্রয়-বিক্রয়সহ মালিকানা হস্তান্তর, নিবন্ধন, ভূমি জরিপ, রেকর্ড সংরক্ষণের মতো কার্যক্রমে ভূমি সেবার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ খাত থেকে প্রতি বছর ভূমি উন্নয়ন কর, জলমহাল ও বালুমহাল ইজারা এবং তফসিলভুক্ত লীজ সম্পত্তি বাবদ সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে। ভূমি সেবাকে জনবান্ধব ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ভূমি খাতের এই গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে টিআইবি নিয়মিতভাবে ভূমি সেবার ওপর গবেষণা পরিচালনা করে এবং গবেষণায় চিহ্নিত সুশাসনের চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণে অধিপরামর্শমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।

বর্তমানে টিআইবি তার সার্বিক কর্যক্রম হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদী (জানুয়ারি ২০২২ - ডিসেম্বর ২০২৬) ‘পার্টিসিপেটরি অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন: টুওয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (প্যাক্টা)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পরিবীক্ষণের (কমিউনিটি মনিটরিং) মাধ্যমে ভূমিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে কাজ করে সমস্যাগুলোর সমাধানে নাগরিক পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা। এই ধারাবাহিকতায়, প্যাক্টা প্রকল্পের অধীনে শিক্ষা,স্বাস্থ্য, ভূমি এবং নির্মাণ খাতের কার্যক্রমে স্থানীয় পর্যায় পরিবীক্ষণের (কমিউনিটি মনিটরিং) জন্য দেশের ৪৫টি অঞ্চলে স্থানীয় সেবাগ্রহীতাদের (নারী-পুরুষ, যুব, পেশাজীবী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী) অংশগ্রহণে অ্যাকটিভ সিটিজেনস গ্ৰুপ (এসিজি) গঠন করা হয়েছে। এসিজিগুলো সচেতন নাগরিক কমিটি’র (সনাক) তত্ত্বাবধানে এবং ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্টের (ইয়েস) সহযোগিতায় এই খাতসমূহের কার্যক্রম সুশাসনের আঙ্গিকে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক গবেষণা ও অধিপরামর্শ করছে।

বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন-