ঢাকা , ০৮ জুলাই ২০১৫: টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ও রেনেটা লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সৈয়দ হুমায়ুন কবিরকে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি শুধু একজন কৃতি ব্যবসায়িই ছিলেন না বরং একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অনুকরণীয় আদর্শ।
ড. জামান আরো বলেন, ‘‘সৈয়দ হুমায়ুন কবির টিআইবি’র প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন এবং পরবর্তী সময়ে সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে প্রতিষ্ঠা তথা বেগবান করার লক্ষ্যে সক্রিয় অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিআইবি’র প্রতিষ্ঠাকালীন সকল কার্যক্রমে তাঁর সুচিন্তিত পরামর্শ, নির্দেশনা ও সহায়তা আমাদেরকে এগিয়ে যাবার প্রেরণা যুগিয়েছে। টিআইবি’র বর্তমান দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন ব্যাপ্তি, প্রসারে এবং কর্মসূচি উন্নয়নে কৌশলগত দিক-নির্দেশনার জন্য টিআইবি তাঁর কাছে গভীরভাবে ঋণী। টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, ম্যানেজমেন্ট এবং টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সারাদেশের সনাক, স্বজন, ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস, ওয়াইপ্যাক ও টিআইবি’র সদস্যদের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
ড. জামান বলেন, এই বেদনার্ত মূহুর্তে আমাদের অঙ্গীকার, তাঁর প্রদর্শিত পথে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা উঁচু করে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা প্রদর্শনে টিআইবি পরিবার সদা নিবেদিত থাকবে।
উল্লেখ্য, মরহুম সৈয়দ হুমায়ুন কবির তাঁর বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনে অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ব্র্যাকের বোর্ড অব গভর্নেন্সের সদস্য, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, আমেরিকান-বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের সভাপতি, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের সিনিয়র ফেলো, সিপিডি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।