'রিপোর্ট করাপশন' কেন? 

টিআইবি’র ২০১২ সালের জাতীয় খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী ৫৩.৩ % উত্তরদাতাই বলেছেন যে সেবা পেতে তাদেরকে ঘুষ দিতে হয়েছে। ২০১০ সালের খানা জরিপের তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে টাকার অংকে ঘুষের পরিমান ২০১২ সালে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। টাকার অংকে ২০১০ সালে ঘুষের পরিমান ছিল জিডিপি’র ১.৪ শতাংশ বা জাতীয় বাজেটের ৮.% যা ২০১২ সালে বেড়ে জিডিপির ২.% এবং জাতীয় বাজেটের ১৩.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

২০১২ সালের জাতীয় খানা জরিপ অনুযায়ী, সকলে কম বেশি দুর্নীতির শিকার হলেও সমাজের দরিদ্র গোষ্ঠী দুর্নীতির কারণে অধিকতর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী, খানাপ্রতি বার্ষিক ব্যয়ের গড়প্রতি ৪.% পরিমান অর্থ ঘুষের কারণে ব্যয়িত হয়। স্বল্প আয়ের জনগণকে ঘুষের জন্য গড়ে ৫.% এবং উচ্চ আয়ের জনগণকে গড়ে ১.% অর্থ ঘুষের জন্য ব্যয় করতে হয়। স্পষ্টতই দরিদ্রদের ঘুষের ভার বেশি বহন করতে হয়। এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। ঘুষের ঘটনা জানিয়ে আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন এবং সকলের সম্মিলিত প্রতিবাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে টিআইবি দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে জনসেবা প্রদানে নিয়ম-বহির্ভূত অর্থ প্রদানের মাত্রা কমাতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

Add a new option to those above