প্রাধান্য
|
১.
|
ধারা ২(৫), ২(৬), ৩, ৬(১), ৬(৩), ৬(৪), ৬(৫), ৯(১), ৯(২), ৯(৩), ৯(৪), ১০(১), ১৩(১), ১৩(২), ১৩(৩), ১৪, ১৫(ক), ১৫(ঘ): আইনের এখতিয়ারে ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তি
|
· এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিজস্ব ক্ষমতার বাইরে অহেতুক এখতিয়ারের সম্প্রসারণ;
· প্রবাসী বাংলাদেশীসহ অন্যদের জনহিতকর ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমকে নিরুৎসাহিত করতে পারে;
· অবৈধ অর্থ প্রবাহ এবং কর ফাঁকির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে;
· এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত কাজের চাপ বৃদ্ধির ঝুঁকি সৃষ্টি হবে।
|
এই আইনের এখতিয়ার থেকে ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তি বাতিল করে ২(৫), ২(৬), ৩, ৬(১), ৬(৩), ৬(৪), ৬(৫), ৯(১), ৯(২), ৯(৩), ৯(৪), ১০(১), ১৩(১), ১৩(২), ১৩(৩), ১৪, ১৫(ক), ১৫(ঘ) নং ধারাসমূহে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা উচিত।
|
২.
|
ধারা ৪: নিবন্ধন এবং নিবন্ধন নবায়ন
|
· নিবন্ধনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত নেই (যদিও অন্যান্য আরও কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে);
· নিবন্ধন ইস্যু প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমানে চলমান চর্চা অনুযায়ী সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত।
|
ধারা ৪ এর অধীন নিম্নলিখিত উপ-ধারাসমূহ সংযুক্ত করা উচিত:
ক) “সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রারম্ভিক নিবন্ধন ইস্যু করা হইবে”।
খ) “সর্বোচ্চ ৪৫ দিনে নিবন্ধন নবায়ন করা হইবে”।
|
৩.
|
ধারা ৬: প্রকল্প অনুমোদন, ইত্যাদি
|
· অনুমোদনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত নেই;
· অনুমোদন প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমানে চলমান চর্চা অনুযায়ী সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত।
|
ধারা ৬ এর অধীন নিম্নলিখিত উপ-ধারা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:
“সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হইবে”।
|
৪.
|
ধারা ৬(৪): ব্যুরো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আপত্তি বা সুপারিশ অনুসারে প্রকল্প প্রস্তাব পরিবর্তন বা সংশোধন করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা এনজিওকে ফেরত প্রদান করিতে পারিবে
|
· এই প্রক্রিয়া প্রকল্পের মৌলিক বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ণকরতে পারে;
· এটি এনজিও খাতের সাবলীল বিকাশ, প্রাধান্য অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং অর্থায়নের পথে অন্তরায়সহ নেতিবাচক প্রভাবের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে;
· দাতা সংস্থার অগ্রাধিকার বা প্রাধান্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সংশোধনী প্রস্তাবিত হতে পারে।
|
ধারা ৬(৪) নিম্নরূপ সংশোধন করা উচিত:
“সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকার মন্তব্য বা সুপারিশ থাকিলে প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রস্তাবিত কার্যক্রমের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণরাখিয়া উহা বিবেচনা করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট এনজিওকে ব্যুরো পরামর্শ দিতে পারিবে।”
|
৫.
|
ধারা ১০(৭) ও ১০(৮): পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কর্মরত এনজিওদের কার্যক্রম ‘তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ণ’ করবে একটি অনির্ধারিত কমিটি
|
এই ধারা দু’টি বৈষম্যমূলক। কারণ:
ক) যেখানে দেশের অন্যান্য জেলার এনজিও কার্যক্রমের সমন্বয় ও পরিবীক্ষণের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওপর ন্যস্ত, সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এ ধরনের দায়িত্ব কোন্ কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যস্ত হবে তা অনুল্লিখিত রাখা হয়েছে;
খ) অন্যান্য জেলা থেকে ভিন্ন এই অনির্ধারিত কমিটির কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কর্মরত এনজিওদের কার্যক্রম ‘মূল্যায়ণ’ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
|
ধারা ১০(৭) ও ১০(৮) নিম্নরূপ সংশোধন করা হোক:
ক) পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা পাবর্ত্য জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করা উচিত; এবং
খ) ‘তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ণ’ সংশোধন করে অন্যান্য জেলার মতো ‘পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ’ প্রতিস্থাপন করা হোক।
|
৬.
|
ধারা ১২(২): প্রকল্প সমাপ্তির পর সকল খরচের ভাউচার সংশ্লিষ্ট এনজিওর কেন্দ্রীয় ও মাঠ কার্যালয়ে সংরক্ষণ (অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য)
|
মাঠ কার্যালয়ে খরচের ভাউচার বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই সংরক্ষণ করা অসম্ভব। কেননা, সাধারণত প্রকল্প শেষ হওয়ার পর মাঠ কার্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়।
|
“প্রকল্প সমাপ্তির পর সকল খরচের ভাউচার সংশ্লিষ্ট এনজিওর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঁচ বছরের জন্য সংরক্ষণ করিতে হইবে” - এই মর্মে ধারা ১২(২) সংশোধন করা হোক।
|
৭.
|
ধারা ১৪: অপরাধ
|
বিধৃত অপরাধগুলো অন্য আইনে বিচার্য; নতুন সংযোজিত লাইনটি অপব্যাখ্যাযোগ্য ও স্বেচ্ছাচারমূলক
|
ধারাটি বাতিল করা হোক।
|
অন্যান্য
|
৮.
|
আইনের ‘উদ্দেশ্য’ ও ‘যৌক্তিকতা’
|
আইনটিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার পূরণের প্রতিফলন থাকা উচিত।
|
সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদ যেখানে ‘সংগঠন/ সংঘ করার অধিকার’-কে স্বীকৃতি বা নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, সেই অনুচ্ছেদকে আইনটির ‘উদ্দেশ্য’ ও ‘প্রধান যৌক্তিকতা’ হিসেবে সংযোজন করা হোক।
|
৯.
|
ধারা ১৯: বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
|
এই আইনটির খসড়া প্রণয়নকালে এনজিওদের সম্পৃক্ত করার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টির পর এখন সরকারের উচিত এই আইনের ভিত্তিতে বিধি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায়ও এনজিও প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা।
|
নিম্নরূপ পরিবর্তন করা হোক: “এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার অংশগ্রহণমূলকভাবে এনজিও প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।”
|