চীনের উহান অঞ্চলে প্রথম কোভিড—১৯ বা করোনা ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। চীন সরকার কতৃর্ক ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে কোভিড—১৯ রোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ভাইরাস সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে এবং ১১ মার্চ ২০২০ মহামারি বা অতিমারি (pandemic) হিসেবে ঘোষণা করে। জানুয়ারি ২০২০ হতে চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ছড়িয়ে পড়ার কারণে বহু দেশ তাদের অভ্যন্তরে মার্চ মাস হতে লকডাউন ঘোষণা করে। এতে ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশসমূহ সহ সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যাবলী প্রায় স্থবির হয়ে যায়। বৈশ্বিক অর্থনীতি অত্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কোভিড—১৯ এর জন্য বৈশ্বিক তৈরি পোশাক বাজার ২০২০ সালে প্রায় ২৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমান সংকচিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক ‘সাপ্লাই চেইন’ (উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহ শৃংঙ্খল) ব্যবস্থা নজিরবিহীন বাঁধার সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে যে সকল দেশের সাথে চীনের ‘সাপ্লাই চেইন’ এর সম্পর্ক রয়েছে তারা অতিরিক্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়। চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে বিভিন্ন বৈশ্বিক ব্র্যান্ড চীনে তাদের প্রায় সকল পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় এবং চীনও তাদের সকল উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। মার্চ এর পর থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকায় লকডাউন ঘাষণার পর কার্যত তৈরি পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠানসমূহ অধিকাংশ বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় অধিকাংশ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (বিশেষ করে এশিয়ার স্বল্পন্নত দেশসমূহ যেমন: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইত্যাদি) কারখানায় প্রদত্ত ক্রয়াদেশ বাতিল করে অথবা পণ্যের মূল্য ছাড় দাবি ও অর্থপরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য চাপ দেয়। ফলশ্রম্নতিতে এসকল দেশের অনেক কারখানা উৎপাদন কমিয়ে দেয়, কোনো কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক শ্রমিক চাকুরি হারায়। বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিড—১৯ এর জন্য বৈশ্বিক তৈরি পোশাক বাজার ২০২০ সালে প্রায় ২৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমান সংকচিত হবে। বৈশ্বিক এই মহামারির কারণে তৈরি পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন