Accessing Green Climate Fund (GCF) for Vulnerable Countries like Bangladesh: Governance Challenges and Way Forward

প্রকাশকাল: ১৪ মে ২০২৪

প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা

বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের একটি অন্যতম উৎস হলো গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল। এই তহবিল ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং উন্নয়নশীল দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করে। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহ যেসব আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কার্যক্রম পরিচালনা করে জিসিএফ তার মধ্যে অন্যতম। উন্নত দেশ কর্তৃক প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়টি স্বেচ্ছামূলক হওয়ায় অপর্যাপ্ত তহবিল সরবরাহ এবং বাংলাদেশসহ ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহের জন্য জলবায়ু তহবিল পাওয়া অনিশ্চিত। উন্নয়নশীল দেশের জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ২০৩০ পর্যন্ত বছরে ১,৩০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন এবং জিসিএফ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহে অর্থ সরবরাহের একটি অন্যতম মাধ্যম।

জিসিএফ বিশ্বের ১৫৪টি দেশকে ‘তহবিল পাওয়ার যোগ্য‘ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এর মধ্যে ১২৯ দেশে মোট স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২১টি। এর মাঝে ডাইরেক্ট একসেস এনটিটি (ডিএই) - ন্যাশনাল ৬৩টি, ডিএই - রিজিওনাল ১৪টি এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান ৪৪টি। ২০১৫-২০২৩ পর্যন্ত জিসিএফ কর্তৃক ২৪৩টি প্রকল্পে ১৩.৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে (১৩.ক) শিল্পোন্নত দেশ কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানসহ জিসিএফ তহবিল থেকে মূলধনী অর্থ সংগ্রহে ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জিসিএফ গ্লোবাল প্রোগ্রামিং কনফারেন্স, ২০২২ এ উন্নয়নশীল দেশের বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে জিসিএফে সরাসরি অভিগম্যতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাদের প্রকল্প প্রাপ্তি ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। ইউনাইটেড ন্যাশন্স ক্লাইমেট এমবিশন সামিট, ২০২৩ এ জিসিএফকে ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিচালনায় সক্ষম করা, স্বীকৃতি প্রক্রিয়া, প্রকল্প অনুমোদন এবং অর্থছাড় ত্বরান্বিত করাসহ তহবিলটির বিভিন্ন সংস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় প্রতিষ্ঠানসহ জলবায়ু তহবিল নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে জিসিএফ তহবিলে অভিগম্যতার ক্ষেত্রে স্বীকৃতি, প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়া ও অর্থ ছাড় নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগ রয়েছে। জিসিএফ সেকেন্ড পারফরম্যান্স রিভিউ-২০২৩ অনুসারে, জিসিএফ তহবিলে অভিগম্যতা পাওয়ার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। বিভিন্ন প্রতিবেদনে তহবিলটির স্বীকৃতি প্রক্রিয়া, প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থছাড় সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ আলোচিত হলেও এর কার্যক্রমে সুশাসন বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ গবেষণার ঘাটতি রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল এবং অর্থায়ন নিয়ে টিআইবি’র ধারাবাহিক গবেষণা ও জিসিএফ সংক্রান্ত অধিপরামর্শমূলক কার্যক্রম রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশের জিসিএফে অভিগম্যতা বিষয়ে সার্বিক সুশাসনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা থেকে এই গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

গবেষণার উদ্দেশ্য

এই গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- জিসিএফ তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশসমূহের অভিগম্যতা প্রক্রিয়ায় সুশাসন পর্যালোচনা করা। এছাড়াও গবেষণার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে-

  • ▪ জিসিএফ তহবিলে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও অর্থায়নের নীতিকাঠামো বিশ্লেষণ করা;
  • ▪ জিসিএফ তহবিল প্রাপ্তির চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা; এবং
  • ▪ গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে সুপারিশ প্রস্তাব করা।

 

বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন-