প্রকাশকাল: ০৮ জুন ২০২৩
প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমিয়ে বিশ্বকে বসবাসের উপযোগী রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালনে মানুষকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ জুন ‘‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’’ হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘Solutions to Plastic Pollutions (প্লাস্টিক দূষণের সমাধান)’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে গৃহীত কার্যক্রমগুলোকে ত্বরান্বিত করতে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পরিবেশ বান্ধব ‘সার্কুলার ইকোনমি’ ব্যবস্থা (production, consumption, reduce, reusing, repairing, refurbishing and recycling) গড়ে তোলার উদ্যোগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রাত্যহিক জীবনে পচনরোধী প্লাস্টিকের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে যা মাটি, পানি, বায়ুমণ্ডল, বন্যপ্রাণী, মানবস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ সরকার ‘‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধানে শামিল হই সকলে’” প্রতিপাদ্যে ‘‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’’ স্লোগানকে সামনে রেখে দিনটি উদযাপন করছে।
প্লাস্টিক বর্জ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন
১৯৩৩ সালে পলিথিন উদ্ভাবনের পর বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। ১৯৫০ এর দশক থেকে সারা বিশ্বে ৮.৩ বিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হয়েছে এবং এর অর্ধেক পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে গত ১৫ বছরে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী যত পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, তার প্রায় ৭৯ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য ল্যান্ডফিল বা প্রকৃতিতে উন্মুক্ত করা হয় এবং প্রায় ১২ শতাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই প্লাস্টিক উৎপাদন, ব্যবহার ও বর্জ্যে রূপান্তর হওয়া চক্রে মোট ১.৮ বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়েছে, যা বৈশ্বিক নিঃসরণের ৩.৪ শতাংশ। ২০৬০ সাল নাগাদ উৎপাদিত প্লাস্টিকের জীবনচক্র থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৪.৩ বিলিয়ন টন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণে প্লাস্টিক দূষণ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অন্যতম প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন -