আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪: নারী অধিকার ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন একসূত্রে গাঁথা

প্রকাশকাল: ০৭ মার্চ ২০২৪

ধারণাপত্র

আন্তর্জাতিক নারী দিবস (০৮ মার্চ) উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য সমাজে নারীর অবদান ও চ্যালেঞ্জের স্বীকৃতি এবং নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির মূল্যায়ন। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে অর্জন ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিত করতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী বিশেষ গুরুত্বসহকারে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

জাতিসংঘ এ বছর ‘Invest in Women: Accelerate Progress’– ‘‘উন্নয়নকে তরান্বিত করতে নারীর কল্যাণে বিনিয়োগ’’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি উদ্যাপন করছে।

‘‘নারী অধিকার ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন একসূত্রে গাঁথা’’ এই চেতনায় টিআইবি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করছে। নারীর সমতা ও বাংলাদেশের অঙ্গীকার: বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(২) অনুচ্ছেদে “রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার” এর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৮৪ সালে নারীদের প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ হিসেবে জাতিসংঘের সিডো সনদেও বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী দেশ। যার ধারাবাহিকতায় জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১৫ এ নারী ও পুরুষের সমান সুযোগ এবং সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

২০২৫ সালের মধ্যে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষে “নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতীয় পরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫” গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার (২০২১-২০২৫) জেন্ডার-বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রাতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করে জেন্ডার অসমতা কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া, নারী-পুরুষ সমতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-২০৪১)। উল্লিখিত অঙ্গীকারসমূহ থাকা সত্ত্বেও নারীদের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিতে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ খাতে বিনিয়োগের অপ্রতুলতা এবং কার্যকর ব্যবহারের ঘাটতির কারণে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি।

পুরো ধারণাপত্রের জন্য এখানে ক্লিক করুন