আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস ২০২৩: অনলাইনে তথ্য প্রবাহে সকল নাগরিকের সম অধিকার চাই

প্রকাশকাল: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠোরভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধের অনুঘটক হিসেবে এই আইনটি প্রণীত হয়েছে, যার স্বীকৃতি আইনের প্রস্তাবনায় সুনির্দিষ্টভাবে প্রদান করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনকে সকল পর্যায়ে ক্ষমতার চর্চাকে জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করা এবং জনগনের বাস্তব ক্ষমতায়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

টিআইবিসহ বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে চিন্তা, বিবেক ও বাক্-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে “তথ্য অধিকার আইন”, Right To Information (RTI) Act-2009, পাশ করা হয়। আইনটি অনেক শক্তিশালী হলেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তথ্যের চাহিদা সৃষ্টিতে উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশের অভাব এবং তথ্য গোপন রাখার সংস্কৃতির কারণে আইনটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা সংশ্লিষ্টদের অনেকের কাছেই আইনটির তাৎপর্য সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।

তথ্য কমিশনের বার্ষিক তথ্যমতে, ২০০৯ থেকে ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়ে সর্বমোট আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯১৮টি, প্রতিবছর গড়ে ১১ হাজার ৩৭৮ টি। ২০০৯-২০২২ সময়কালে আবেদনের প্রেক্ষিতে মোট তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৩২২টি। তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়েরের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০০টি। ২০২২ এর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করা হয়েছে ১৮,৩৭৭টি, যা গত বছরের তুলনায় ১১ হাজার ১২৪টি বেশি। অর্থাৎ তুলনামূলকভাবে তথ্য জানার অধিকার সম্পর্কে সাধারণের ধারণা এবং এই অধিকারের প্রয়োগে নাগরিকের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে বলে ধরে নেওয়া যায়। তবে এটি এখনও যথেষ্ট নয়।

পুরো ধারণাপত্রের জন্য এখানে ক্লিক করুন


Concept Note